পটুয়াখালী প্রতিনিধি; মনজুর মোর্শেদ তুহিন
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বহুদিন ধরে চলা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নির্মূলের ভাবনা নিয়ে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে চলছে সমালোচনা। হাসপাতাল পরিচালনায় কিছুদিন পর পর পরিবর্তন হওয়া তত্ত্বাবধায়কদের কার্যকলাপে প্রত্যেকে হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তাই পটুয়াখালী সুশীল সমাজের মানুষের দাবি উঠেছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ন ও পরিচালনায় সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ। যদি তত্ত্বাবধায়ক পদে সেনাবাহিনীর মেজর কিংবা ঊর্ধ্বতন অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয় তবে দালালের দৌরত্ব থেকে চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধের সকল পর্যায়ের পরিবর্তন আসবে। এ নিয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মতামত প্রদান সহ পরিবর্তনের দাবি করে আসছে।
এ নিয়ে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্য মিঠু নোমান তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন, পটুয়াখালীর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়কের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দিলেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান আসবে। তখন সুন্দর সেবা দিবে নার্সগন, টাইম মত ডাক্তার সাহেবরা হবেন হাজির, পরিস্কার চকচকে হয়ে যাবে বাথরুম সহ সব ওয়ার্ড। পাওয়া যাবে সব ঔষধ। দালালরা তো একেবারেই উধাও হয়ে যাবে। আর সবই ঘটবে কিন্তু এই একই লোকবল নিয়ে, একই সরঞ্জাম নিয়ে। তাই আসুন আমরা আওয়াজ তুলি হাসপাতাল ত্বত্তাবধায়ক হিসেবে একজন মেজরকে চাই আমরা" মিঠুন নোমান এর পোষ্টের কমেন্টে বিভিন্ন মানুষ তার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ লোক পোষ্টের স্বপক্ষে মতামত দিয়েছেন।
ডাঃ মসিহ্ তার কমেন্টে লিখেছেন, আওয়াজ দিন সমস্যা নেই। তবে জানতে হবে কখন সেনাবাহিনী এর দায়িত্ব নেয়। ৭৫০ বেডের নিচের হাসপাতাল এ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পায় না। আগে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির আন্দোলন করুন।
প্রতি উত্তরে মিঠু নোমান বলেন, ডাঃ মসিহ্ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আমাদের দেশের একটি বড় বাধা। এই আমলাতান্ত্র ভাংতেই সকল আয়োজন। জনগনের দাবীর কাছেই একমাত্র এই আমলাতান্ত্রের পরাজয় হতে পারে। তাই আসুন সাধারন মানুষের জন্য কিছু করি। মিঠু নোমান তার সকল ফেসবুক বন্ধুদের পটুয়াখালী হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলতে বলেছেন।